ওমর ফারুক, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় হোসনাবাদ কান্দিরপাড়া গ্রামে অন্তসত্ত্বা স্ত্রীর উপর পাষন্ড স্বামী সোহেলের অমানবিক নির্যাতনে গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নির্যাতিত স্ত্রী পপি তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
দৌলতপুর উপজেলার হোসনাবাদের হাপিজুল হোসেনের পুত্র সোহেল আলী (৩২) সাথে বিয়ে হয় একই থানার মহিষকুন্ডি গ্রামের আবুল বাশারের মেয়ে পপি খাতুনের।
সুত্রে জানা যায়, গত ১২-০৬-২০১৯ তারিখে স্বামী ও শাশুড়ী মিলে চুলের মুঠি ধরে লোহার রড দিয়ে বেধরক মারপিট করে। এক পর্যায়ে পাষন্ড স্বামী সোহেল অন্তসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারে। ফলে রক্তপাত শুরু হয়।
অবস্থা খারাপ দেখে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া পদ্মা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে মেয়ের পরিবার খবর পেয়ে মহিষকুন্ডির কোহিনুর ক্লিনিকে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার উন্নতি না দেখে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
রাজশাহী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আল্ট্রাসনো করার পরে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানায়। এ দিকে রাজশাহী হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি করে স্বামী সোহেল ছাড়পত্র নিয়ে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন স্ত্রী পপিকে। এর পর থেকে পাষন্ড স্বামী সোহেল ও তার পরিবার স্ত্রী পপির কোন খোজঁখবর নেননি বলে জানা যায়।
নির্মম নির্যাতন ও পেটে আঘাতের কারনে গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার পর থেকে পপির শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।