ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনে খুলনা অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন ঝিনাইহের সাগর হোসেন সোহাগ। আগামী ১১-১২ই মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সম্মেলনে তারিখ ঘোষণা হয়েছে ছাত্রলীগের। এরই মধ্যে সংগঠনের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন, এ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা।
সম্মেলনে সংগঠনটির শীর্ষ পদগুলো পেতে শুরু হয়েছে পদ প্রত্যাশীদের চেষ্টা তদবির। নেতৃত্বে আসতে দুঃসময়ে সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রচারণা সামনে আনছেন তারা। ঐতিহ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে কয়েকটি বিষয় দেখা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- পারিবারিক পরিচিতি, নিয়মিত ছাত্রত্ব, সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং এলাকা। ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এসএম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ইতি মধ্যে ২৯তম সম্মেলনে খুলনা অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন- গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাগর হোসেন সোহাগ।
শতভাগ আসাবাদি সাগর হোসেন সোহাগ তিনি সাংবাদিকদের সাহ্মাৎকারে বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসাবে বিরোধীদলে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে সরাসরি মিছিল মিটিং শুরু করি, সাথে সাথে নিজ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাথে কাজকর্ম করতাম।
পরে ২০০৮ সালে সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার শুরুর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ার সাথে সাথে আরো সক্রিয় ভাবে রাজনীতি শুরু করি, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে গোনা কিছু লোক জয় বাংলা স্লোগান দিতে পারতো তার ভিতরে আমি ছিলাম। পরে কিছুদিন পর শিবিরের সাথে গ্যানজাম হয় ছাত্রলীগের, সেটাতেও সামনের কাতারে ছিলাম তারপর যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায় তখন ঢাকা চলে আসি। এবং আল্লাহর রহমতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হলে চারুকলায় ভর্তি হই এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় ভাবে চারুকলার রাজনীতির সাথে ওতপ্রোয়ত ভাবে গ্রুপ রাজনীতি শুরু করি, কিছুদিন পর চারুকলার কমিটির সদস্য হিসাবে প্রথম নাম লিখায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে ।
পরে আস্তে আস্তে দলের সার্থে নিজের গ্রুপ তৈরি করি। এরপর সোহাগ ভাই আমার যোগ্য দেখে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি পদ দিয়েছিল। তারপর সোহাগ-নাজমুল ভাইয়ের সম্মেলনের পর সোহাগ-জাকির ভাইয়ের কমিটি হয়, সেটাতে আমি বর্তমান গ্রন্থনা প্রকাশনা বিষয়ক উপসম্পাদক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছি।
সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে নিজেকে উৎসর্গ করে রেখেছি আমি এখনও আমার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা বান্দরবন পার্বত্য জেলায় কাজ করে যাচ্ছি। আমি সামনে আরো বড় কোন দায়িত্ব পেলে নিজের জীবন দিয়ে হলেও চেষ্টা করবো দায়িত্ব পালন করার জন্য।