অপরাধ বার্তা ডেক্সঃ
প্রাইভেট কারে করে গাঁজা পাচারের সময় কুলিয়ারচর থেকে মো. ওমর ফারুক (৩৩) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ ও স্কোয়াড কমান্ডার এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ আভিযানিক দল শুক্রবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় প্রাইভেট কারে তল্লাসি চালিয়ে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ী মো. ওমর ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চম্পক নগরের ইসমাইল ভূইয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, ভৈরব র্যাব-১৪ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাদকের চালান নিয়ে সীমান্ত এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় প্রাইভেটকার যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র্যাবের নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।
এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ ও স্কোয়াড কমান্ডার এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ আভিযানিক দল শুক্রবার দুপুর দেড়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ গোলচত্তরে চেকপোস্ট স্থাপন করেন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা মেট্রো-গ ১১-৫৪৮৩ সিলভার কালারের প্রাইভেটকারটিকে থামার সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি সংকেত অমান্য করে চলে যায়।
তখন ভৈরব ক্যাম্পের আভিযানিক দল প্রাইভেটকারের পিছু ধাওয়া করে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রাইভেকারটিকে চালকসহ দুপুর আড়াইটায় আটক করেন। আটককৃত চালকের নাম মো. ওমর ফারুক।
উদ্ধারকৃত গাঁজা ও প্রাইভেটকারের আনুমানিক মূল্য তের লাখ টাকা। ধৃত আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধনী-২০০৪) এর ১৯(১) টেবিলের ৭(খ)/২১ ধারা মোতাবেক কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।