|

ইউপি চেয়ারম্যানের খাসকামরায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ৮:৪০ অপরাহ্ন | জুলাই ২৬, ২০১৮

কোলা ইউনিয়ন পরিষদ-Kola Union Parishad

মোঃ ফয়সাল হাওলাদার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যানের খাসকামরায় ৮ম শ্রেণীর এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধীকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা গ্রামের রিক্সা চালক মুন্না সরদারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষক ওই ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং প্লেট বিতরণকারী এবং টংগীবাড়ী উপজেলার বেত্কা গ্রামের বাসিন্দা সাজিদ (২৫)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের পর ওই ধর্ষক কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে।

পরে মেয়েটিকে ধর্ষনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষন করে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান মীর লিয়াকত আলীর খাসকামরায়। ঘটনাটি ঘটে গত ছয়মাস পূর্বে। ওই ইউনিয়নের চেয়রাম্যান মীর লিয়াকত আলী ধামাচাপা দিয়ে রাখলেও বতর্মানে ধর্ষনের ভিডিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইছবুকে ছড়িয়ে পরে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

ধর্ষিতা জানান, আমি ঐ ছেলেকে চিনতাম না প্রায় ছয় মাস পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগতা মোঃ বাবু অসুস্থ্য থাকায় তার আপন ভাগনি মলি আক্তার ভারপ্রাপ্ত উদ্যোগতা হিসাবে কাজ করত। তখন মলি আক্তার আমাকে প্রায় কম্পিউটার শিক্ষার কথা বলত। তাই আমি মলি আপুর সাথে কম্পিউটার শিক্ষার জন্য তার সাথে ইউনিয়ন পরিষদে যেতাম। কম্পিউটার শিক্ষার সময় ঐ ছেলে আমার সাথে নানা দুষ্টামি করত আমার গায়ে হাত দিতো। আমি মলি আপুকে বলতাম। মলি আপু বলত কিছু হবেনা বলতো।

কয়েক দিন পরে মলি আক্তার (আপু) বলেন ঐ ছেলেদের খাবার রান্না করেন দিতে। আমাকে অকেন টাকা দিবে। তিনি আরো বলেন, তোর মা আয়ার কাজ করেন তুই ওদের খাবার রান্না করে দিলে ওরা তোকে অনেক টাকা দিবে। তোকে ভালো মোবাইল কিনে দিবে। তখন ঐ ধর্ষক সাজিদ আমাকে ভালো ভালো কথা বলত এবং আমার সাথে প্রেম করত। প্রায় সময় সাজিদ আমাকে চুমু করতো, জড়িয়ে ধরত এবং জড়িয়ে ধরে ছবি তুলত আর এরই মধ্যে একদিন আমার সাথে এসব ঘটনা করে।

এসব ঘটনার সাথে সাথে আমি মলি আপুকে সব বলি মলি আপু বলেন, আর কারো কাছে যেন না বলি। তার পর থেকে আমি আর কোন দিন ঐ ইউনিয়ন পরিষদে যাই নাই। সাজিদ আমাকে ফোন দিতো আমি ওকে বলেছি আপনে আমার সাথে খারাপ কাজ করেছেন। আপনে আমাকে আর কোন দিন ফোন দিবেনা তার পরে আমি আমার ফোন নাম্বার বন্ধ করে দেই।

ধর্ষিতার মা জানান, মলির সহযোগিতায় চেয়ারম্যানের খাসকামরায় আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিল ঐ লম্পট সাজিদ। মলি ও চেয়ারম্যান সব জানে। কিন্তু এখন আমার মেয়ের সর্বনাশ হয়ে গেল। আমি এর বিচার চাই, মলি আমার মেয়েকে চেয়ারম্যান অফিসে বার বার ডেকে নিয়ে এই সর্বনাশ করল। চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত রুমে এই লোক গুলাকে থাকতে দিতো। চেয়ারম্যানের অফিসে আমার মেয়ের এই সর্বনাশ হলো আমি এর বিচার চাই।

এব্যাপারে এলাকাবাসী অনেকেই বলেন, ইউপি সচিব ও মলি সহযোগিতায় এই কু-কৃত্তি ঘটিয়েছে।

এ ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান মীল লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসব ব্যপারে এখন আপনাদের কাছ থেকে শুনছি। ইতিপূর্বে আমি এসব ঘটনা শুনিনি বা জানিও না। তিনি আরোও বলেন, এই ছেলেকে পরিষদের হোল্ডিং টেংক্স কাটার জন্য এনেছিলাম।

এ ছেলের পূর্ণ ঠিকানা চাহিলে চেয়ারম্যান বলেন আমার কাছে এই ছেলের ঠিকানা নেই। এই ছেলেকে আমার কাছে যে পাঠিয়েছিল আমার সাথে তার ডিট ডুকোমেন্ট আছে। আমার সচিব ঢাকা গেছেন। সে আসলে আমি তার ঠিকানা দিতে পারবো। সাজিদকে এখানে পাঠান টংঙ্গীবাড়ীর বজ্রজোগীনির গোলাম মোর্শেদের স্ত্রী।

এজেন্টের মালিক ঐ মাহিলার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঢাকার বাহিরে আছেন বলেন জানান, তিনি আরো বলেন সাজিদ আমার ভাতিজা হয়। আমি ব্যাপাটা দেখছি।

এ ব্যপারে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনর্চাজ (প্রশাসন) মোঃ আবুল কালাম জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেখা হয়েছে: 685
সর্বাধিক পঠিত
ফেইসবুকে আমরা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
অত্র পত্রিকায় প্রকাশিত কোন সংবাদ কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানের মানহানিকর হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে। সকল লেখার স্বত্ব ও দায় লেখকের।

প্রকাশকঃ মোঃ উবায়দুল্লাহ
সম্পাদকঃ আরিফ আহম্মেদ
সহকারী সম্পাদকঃ সৈয়দ তরিকুল্লাহ আশরাফী
নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ সবুজ মিয়া
মোবাইলঃ ০১৯৭১-৭৬৪৪৯৭
বার্তা বিভাগ মোবাইলঃ ০১৭১৫-৭২৭২৮৮
ই-মেইলঃ [email protected]
অফিসঃ ১২/২ পশ্চিম রাজারবাগ, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা ১২১৪