নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাফিজা খাতুন (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী কলেজে যাওয়ার পথে দুর্গাপুর থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। হাফিজা উপজেলার সাদোপাড়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে। সে দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রামে নানার বাড়ি থেকে পড়াশনা করতেন। কিন্তু কলেজ থেকে আর বাসায় ফেরেননি তিনি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রী হাফিজা রাতুগ্রামে নানা আয়েন উদ্দিনের বাড়ি থেকে দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজে থেকে পড়াশোনা করতেন। ওই কলেজ ছাত্রী বেশকেছু দিন থেকে নাটোর সিংড়া উপজেলার সতর গ্রামের লিটন নামের এক ছেলের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলেন। এবং লিটন দীর্ঘদিন ধরে প্রেম নিবেদন ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
এঘটনায় গত ২৪ আগস্ট সকাল ১০টায় ওই কলেজ ছাত্রী দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের আসার সময় কলেজের সামনে পাকা রাস্তায় লিটন ও দুর্গাপুর উপজেলার নান্দিগ্রামের সোহেল ও সূর্য্যভাগের ইসরাফিলসহ কয়েকজন সহযোগি মিলে জোর পুর্বক একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পর দিন ওই কলেজ ছাত্রীর তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে নানা আয়েন উদ্দিনকে জানান, যে তাকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই ওই কলেজছাত্রী মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তার স্বজনরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে তার পিতা আকবর আলী বাদি হয়ে দুর্গাপুর থানায় একিটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার (ওসি) আব্দুল মোতালেব জানান, ওই ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা দুর্গাপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।