|

ময়মনসিংহে ১০ টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ

প্রকাশিতঃ ১০:০৪ অপরাহ্ন | জুলাই ৩১, ২০১৮

ময়মনসিংহে ১০ টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ

মোঃ কামাল হোসেন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের তালদিঘী গ্রামে ১০ টাকার বিনিময়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (১১) এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে আলম (২০) নামে এক কলেজ পড়ুয়া বখাটে। ধর্ষক আলম তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সে ওই কলেজের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে মামলা হলেও পুলিশ ধর্ষক আলমকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে অভিযোগ নির্যাতিতা পরিবারের।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে গেলে এমন চঞ্চল্যকর তথ্যই বের হয়ে আসে। তখন প্রতিবেদেকের সাথে কথা হয় নির্যাতিত ভিকটিম ও পরিবারের সঙ্গে।

এ সময় নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য হাসিনা আক্তার ও ইউনুস আলী দম্পতির কলেজ পড়ুয়া বখাটে ছেলে আলম গত ২৯ জুলাই বিকেলে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে একটি নির্জন ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। তখন শিশুটি একই ইউনিয়নের তালদিঘী মোড়ে দোকানে যাচ্ছিল। পরে ঘরে কেও না থাকায় মুখ চেপে শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্যাতন করা হয়।

তিনি আরও জানান, নির্যাতনের পর শিশুটির হাতে ১০ টাকা দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাড়িতে পাঠায় আলম। পরে বাড়িতে যাওয়ার পর ব্যাথা অনুভব করলে শিশুটি তার মায়ের কাছে নির্যাতনের ঘটনাটি খোলে বলেন।

খবর পেয়ে বাবা বাড়িতে গিয়ে আলমের পরিবারের কাছে বিষয়টি জানালে তারা কোন ব্যবস্থায় নেয়নি। ঘটনার পরদিন ৩০ জুলাই বাবা বাদি হয়ে তারাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা হলেও আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে শিশুটির পরিবার ধর্ষকের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন।

ঘটনার কথা জানতে কাকনী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য হাসিনা আক্তার ও ইউনুস আলীর কাছে ফোন দেয়া হলে তারা বিষয়টি এরিয়ে ফোন কেটে দেন।

তারাকান্দা থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি মাহবুবুল হক এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিশুকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক পলাতক রয়েছে। আসামি ধরারর জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে আমরা ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

দেখা হয়েছে: 796
সর্বাধিক পঠিত
ফেইসবুকে আমরা

অত্র পত্রিকায় প্রকাশিত কোন সংবাদ কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানের মানহানিকর হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে। সকল লেখার স্বত্ব ও দায় লেখকের।

প্রকাশকঃ মোঃ উবায়দুল্লাহ
সম্পাদকঃ আরিফ আহম্মেদ
সহকারী সম্পাদকঃ সৈয়দ তরিকুল্লাহ আশরাফী
নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ সবুজ মিয়া
মোবাইলঃ ০১৯৭১-৭৬৪৪৯৭
বার্তা বিভাগ মোবাইলঃ ০১৭১৫-৭২৭২৮৮
ই-মেইলঃ [email protected]
অফিসঃ ১২/২ পশ্চিম রাজারবাগ, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা ১২১৪